মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১১

ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো

স্টিভ জবস বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের (টয় স্টোরি, ফাইন্ডিং নিমো, মনস্টার ইনকরপোরেটেড, ওয়াল-ই, আপ-এর মতো অসাধারণ
অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিভ জবস। সে বছর ১২ জুন এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ। ভাষান্তর সিমু নাসের
প্রথমেই একটা সত্য কথা বলে নিই। আমি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করিনি। তাই সমাবর্তন জিনিসটাতেও আমার কখনো কোনো দিন উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এর চেয়ে বড় সত্য কথা হলো, আজকেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবচেয়ে কাছে থেকে দেখছি আমি। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কোনো কথার ফুলঝুরি নয় আজ, স্রেফ তিনটা গল্প বলব আমি তোমাদের। এর বাইরে কিছু নয়।
আমার প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন বিন্দুকে এক সুতায় বেঁধে ফেলার গল্প।
ভর্তি হওয়ার ছয় মাসের মাথাতেই রিড কলেজে পড়ালেখায় ক্ষ্যান্ত দিই আমি। যদিও এর পরও সেখানে আমি প্রায় দেড় বছর ছিলাম, কিন্তু সেটাকে পড়ালেখা নিয়ে থাকা বলে না। আচ্ছা, কেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লাম?
এর শুরু আসলে আমার জন্মেরও আগে। আমার আসল মা ছিলেন একজন অবিবাহিত তরুণী। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আমার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আমাকে এমন কারও কাছে দত্তক দেবেন, যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। সিদ্ধান্ত হলো এক আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেবেন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে দেখা গেল, ওই দম্পতির কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই, বিশেষ করে আইনজীবী ভদ্রলোক কখনো হাইস্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। আমার মা তো আর কাগজপত্রে সই করতে রাজি হন না। অনেক ঘটনার পর ওই দম্পতি প্রতিজ্ঞা করলেন, তাঁরা আমাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন, তখন মায়ের মন একটু গলল। তিনি কাগজে সই করে আমাকে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন।
এর ১৭ বছর পরের ঘটনা। তাঁরা আমাকে সত্যি সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বোকার মতো বেছে নিয়েছিলাম এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যার পড়ালেখার খরচ প্রায় তোমাদের এই স্ট্যানফোর্ডের সমান। আমার দরিদ্র মা-বাবার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার পেছনে চলে যাচ্ছিল। ছয় মাসের মাথাতেই আমি বুঝলাম, এর কোনো মানে হয় না। জীবনে কী করতে চাই, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কীভাবে সাহায্য করবে, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। অথচ মা-বাবার সারা জীবনের জমানো সব টাকা এই অর্থহীন পড়ালেখার পেছনে আমি ব্যয় করছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং মনে হলো যে এবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সিদ্ধান্তটা ভয়াবহ মনে হলেও এখন আমি যখন পেছন ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ডিগ্রির জন্য দরকারি কিন্তু আমার অপছন্দের কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম, কোনো বাধ্যবাধকতা থাকল না, আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো খুঁজে নিতে লাগলাম।
পুরো ব্যাপারটিকে কোনোভাবেই রোমান্টিক বলা যাবে না। আমার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমোতাম। ব্যবহূত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতাম, যেটা দিয়ে খাবার কিনতাম। প্রতি রোববার রাতে আমি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। এটা আমার খুবই ভালো লাগত। এই ভালো লাগাটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রিড কলেজে সম্ভবত দেশে সেরা ক্যালিগ্রাফি শেখানো হতো সে সময়। ক্যাম্পাসে সাঁটা পোস্টারসহ সবকিছুই করা হতো চমত্কার হাতের লেখা দিয়ে। আমি যেহেতু আর স্বাভাবিক পড়ালেখার মাঝে ছিলাম না, তাই যে কোনো কোর্সই চাইলে নিতে পারতাম। আমি ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেরিফ ও স্যান সেরিফের বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো-বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফি কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখলাম। ব্যাপারটা ছিল সত্যিই দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। আমি এর মধ্যে মজা খুঁজে পেলাম।
এ ক্যালিগ্রাফি জিনিসটা কোনো দিন বাস্তবজীবনে আমার কাজে আসবে—এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ১০ বছর পর আমরা যখন আমাদের প্রথম ম্যাকিন্টোস কম্পিউটার ডিজাইন করি, তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমার কাজে লাগল। ওটাই ছিল প্রথম কম্পিউটার, যেটায় চমত্কার টাইপোগ্রাফির ব্যবহার ছিল। আমি যদি সেই ক্যালিগ্রাফি কোর্সটা না নিতাম, তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো নানা রকম অক্ষর (টাইপফেইস) এবং আনুপাতিক দূরত্বের অক্ষর থাকত না। আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাকের এই ফন্ট সরাসরি নকল করেছে, তাই বলা যায়, কোনো কম্পিউটারেই এ ধরনের ফন্ট থাকত না। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম, তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হতাম না এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এত সুন্দর ফন্ট থাকত না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে এক সুতায় বাঁধা অসম্ভব ছিল, কিন্তু ১০ বছর পর পেছনে তাকালে এটা ছিল খুবই পরিষ্কার একটা বিষয়।
আবার তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতায় বাঁধতে পারবে না। এটা কেবল পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় ভবিষ্যতে গিয়ে একটা অর্থবহ জিনিসে পরিণত হবেই। তোমার ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু না কিছু একটার ওপর তোমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। এটা কখনোই আমাকে ব্যর্থ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে।
আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানোর গল্প।
আমি খুব ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, জীবনের শুরুতেই আমি যা করতে ভালোবাসি, তা খুঁজে পেয়েছিলাম। আমার বয়স যখন ২০, তখন আমি আর ওজ দুজনে মিলে আমাদের বাড়ির গ্যারেজে অ্যাপল কোম্পানি শুরু করেছিলাম। আমরা পরিশ্রম করেছিলাম ফাটাফাটি, তাই তো দুজনের সেই কোম্পানি ১০ বছরের মাথায় চার হাজার কর্মচারীর দুই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়। আমার বয়স যখন ৩০, তখন আমরা আমাদের সেরা কম্পিউটার ম্যাকিন্টোস বাজারে ছেড়েছি। এর ঠিক এক বছর পরের ঘটনা। আমি অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হই। যে কোম্পানির মালিক তুমি নিজে, সেই কোম্পানি থেকে কীভাবে তোমার চাকরি চলে যায়? মজার হলেও আমার ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছিল। প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপল যখন বড় হতে লাগল, তখন কোম্পানিটি ভালোভাবে চালানোর জন্য এমন একজনকে নিয়োগ দিলাম, যে আমার সঙ্গে কাজ করবে। এক বছর ঠিকঠাকমতো কাটলেও এর পর থেকে তার সঙ্গে আমার মতের অমিল হতে শুরু করল। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ তার পক্ষ নিলে আমি অ্যাপল থেকে বহিষ্কৃত হলাম। এবং সেটা ছিল খুব ঢাকঢোল পিটিয়েই। তোমরা বুঝতেই পারছ, ঘটনাটা আমার জন্য কেমন হতাশার ছিল। আমি সারা জীবন যে জিনিসটার পেছনে খেটেছি, সেটাই আর আমার রইল না।
সত্যিই এর পরের কয়েক মাস আমি দিশেহারা অবস্থায় ছিলাম। আমি ডেভিড প্যাকার্ড ও বব নয়েসের সঙ্গে দেখা করে পুরো ব্যাপারটার জন্য ক্ষমা চাইলাম। আমাকে তখন সবাই চিনত, তাই এই চাপ আমি আর নিতে পারছিলাম না। মনে হতো, ভ্যালি ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু সেই সঙ্গে আরেকটা জিনিস আমি বুঝতে পারলাম, আমি যা করছিলাম, সেটাই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। চাকরিচ্যুতির কারণে কাজের প্রতি আমার ভালোবাসা এক বিন্দুও কমেনি। তাই আমি আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
প্রথমে মনে না হলেও পরে আবিষ্কার করলাম, অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুতিটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। আমি অনেকটা নির্ভার হয়ে গেলাম, কোনো চাপ নেই, সফল হওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি রকমের কৌশল নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। আমি প্রবেশ করলাম আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল অংশে।
পরবর্তী পাঁচ বছরে নেক্সট ও পিক্সার নামের দুটো কোম্পানি শুরু করি আমি, আর প্রেমে পড়ি এক অসাধারণ মেয়ের, যাকে পরে বিয়ে করি। পিক্সার থেকে আমরা পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার অ্যানিমেশন ছবি টয় স্টোরি তৈরি করি, আর এখন তো পিক্সারকে সবাই চেনে। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অ্যানিমেশন স্টুডিও। এরপর ঘটে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। অ্যাপল নেক্সটকে কিনে নেয় এবং আমি অ্যাপলে ফিরে আসি। আর লরেনের সঙ্গে চলতে থাকে আমার চমত্কার সংসার জীবন।
আমি মোটামুটি নিশ্চিত, এগুলোর কিছুই ঘটত না, যদি না অ্যাপল থেকে আমি চাকরিচ্যুত হতাম। এটা ছিল খুব বাজে, তেতো একটা ওষুধ আমার জন্য, কিন্তু দরকারি। কখনো কখনো জীবন তোমাকে ইটপাটকেল মারবে, কিন্তু বিশ্বাস হারিয়ো না। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেটা হচ্ছে, আমি যে কাজটি করছিলাম, সেটাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ। আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না।
আমার শেষ গল্পটির বিষয় মৃত্যু।
আমার বয়স যখন ১৭ ছিল, তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলাম—‘তুুমি যদি প্রতিটি দিনকেই তোমার জীবনের শেষ দিন ভাব, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সত্যিই সঠিক হবে।’ এ কথাটা আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল এবং সেই থেকে গত ৩৩ বছর আমি প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি—আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে আমি কি যা যা করতে যাচ্ছি, আজ তা-ই করতাম, নাকি অন্য কিছু করতাম? যখনই এ প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে কয়েক দিন ‘না’ হতো, আমি বুঝতাম, আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।
পৃথিবী ছেড়ে আমাকে একদিন চলে যেতে হবে, এ জিনিসটা মাথায় রাখার ব্যাপারটাই জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ, প্রায় সবকিছুই যেমন, সব অতি প্রত্যাশা, সব গর্ব, সব লাজলজ্জা আর ব্যর্থতার গ্লানি—মৃত্যুর মুখে হঠাত্ করে সব নেই হয়ে যায়, টিকে থাকে শুধু সেটাই, যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তোমার কিছু হারানোর আছে—আমার জানা মতে, এ চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, সব সময় মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে। তুমি খোলা বইয়ের মতো উন্মুক্ত হয়েই আছ। তাহলে কেন তুমি সেই পথে যাবে না, যে পথে তোমার মন যেতে বলছে তোমাকে?
প্রায় এক বছর আগের এক সকালে আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এর থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই আমার। প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য এই ক্যানসারের কারণে তাঁরা আমার আয়ু বেঁধে দিলেন তিন থেকে ছয় মাস। উপদেশ দিলেন বাসায় ফিরে যেতে। যেটার সোজাসাপটা মানে দাঁড়ায়, বাসায় গিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। এমনভাবে জিনিসটাকে ম্যানেজ করো, যাতে পরিবারের সবার জন্য বিষয়টা যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়।
সারা দিন পর সন্ধ্যায় আমার একটা বায়োপসি হলো। তাঁরা আমার গলার ভেতর দিয়ে একটা এন্ডোস্কোপ নামিয়ে দিয়ে পেটের ভেতর দিয়ে গিয়ে টিউমার থেকে সুঁই দিয়ে কিছু কোষ নিয়ে এলেন। আমাকে অজ্ঞান করে রেখেছিলেন, তাই কিছুই দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরে আমাকে বলেছিল, চিকিত্সকেরা যখন এন্ডোস্কোপি থেকে পাওয়া কোষগুলো মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে পরীক্ষা করা শুরু করলেন, তখন তাঁরা কাঁদতে শুরু করেছিলেন। কারণ, আমার ক্যানসার এখন যে অবস্থায় আছে, তা সার্জারির মাধ্যমে চিকিত্সা সম্ভব। আমার সেই সার্জারি হয়েছিল এবং দেখতেই পাচ্ছ, এখন আমি সুস্থ।
কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা স্বর্গে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরতে চায় না। কিন্তু মৃত্যুই আমাদের গন্তব্য। এখনো পর্যন্ত কেউ এটা থেকে বাঁচতে পারেনি। এমনই তো হওয়ার কথা। কারণ, মৃত্যুই সম্ভবত জীবনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট। মৃত্যু পুরোনোকে ঝেড়ে ফেলে ‘এসেছে নতুন শিশু’র জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহূর্তে তোমরা হচ্ছ নতুন, কিন্তু খুব বেশি দিন দূরে নয়, যেদিন তোমরা পুরোনো হয়ে যাবে এবং তোমাদের ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমার অতি নাটুকেপনার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটাই আসল সত্য।
তোমাদের সময় সীমিত। কাজেই কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ে, অর্থাত্ অন্য কারও চিন্তাভাবনার ফাঁদে পড়ে অন্য কারও জীবনযাপন করে নিজের সময় নষ্ট কোরো না। যাদের মতবাদে তুমি নিজের জীবন চালাতে চাচ্ছ, তারা কিন্তু অন্যের মতবাদে চলেনি, নিজের মতবাদেই চলেছে। তোমার নিজের ভেতরের কণ্ঠকে অন্যদের শেকলে শৃঙ্খলিত করো না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, নিজের মন আর ইনটুইশনের মাধ্যমে নিজেকে চালানোর সাহস রাখবে। ওরা যেভাবেই হোক, এরই মধ্যে জেনে ফেলেছে, তুমি আসলে কী হতে চাও। এ ছাড়া আর যা বাকি থাকে, সবই খুব গৌণ ব্যাপার।
আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন দি হোল আর্থ ক্যাটালগ নামের অসাধারণ একটা পত্রিকা প্রকাশিত হতো; যেটা কিনা ছিল আমাদের প্রজন্মের বাইবেল। এটা বের করতেন স্টুয়ার্ড ব্র্যান্ড নামের এক ভদ্রলোক। তিনি তাঁর কবিত্ব দিয়ে পত্রিকাটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।
স্টুয়ার্ট ও তাঁর টিম পত্রিকাটির অনেক সংখ্যা বের করেছিল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আমার বয়স যখন ঠিক তোমাদের বয়সের কাছাকাছি, তখন পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বিদায়ী সেই সংখ্যার শেষ পাতায় ছিল একটা ভোরের ছবি। তার নিচে লেখা ছিল—ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এটা ছিল তাদের বিদায়কালের বার্তা। ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এবং আমি নিজেও সব সময় এটা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। আজ তোমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছেড়ে আরও বড়, নতুন একটা জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, আমি তোমাদেরও এটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো।
তোমাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১১

আগামি ৫ মিনিট এই পোস্ট আপনাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দেবে

এই পোস্ট ফেসবুকের এক আপুর লেখা । সম্পূর্ণ লেখাটি কপি পেস্ট করলাম ।

এই নোট পড়ে খারাপ লাগলে নির্দ্বিধায় আমাকে আনফ্রেন্ড করতে পারেন
আমার ভেতর থেকে প্রচন্ড তাগিদ না পেলে আমি লিখতে বসিনা। ওটা আমার কাজও না। ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতেও আমার আপত্তি নেই যতটা আপত্তি এই লিখার ক্ষেত্রে। এই লিখা যখন লিখছি তখন প্রচন্ড রাগে আমার গা জ্বলছে।
আমি এত ভূমিকা না করে সরাসরি আসল কথায় আসি। স্পা না করলে কি মেয়েরা মরে যাবে? বাঙ্গালী মেয়ারা যথেষ্ঠ রূপবতী। এই রূপ গত কয়েক বছরে ধুম করে জেগে ওঠেনি। তারা আগেও রূপবতী ছিল এখনো আছে। আমি জানিনা যে স্পা তে এমন কি আছে যে তার রূপে এমন বিশেষ কিছু অ্যাড করবে যা না থাকলে তার জীবন চলবেনা? যার কারনে অন্য একজন মানুষের সামনে আধা নগ্ন হয়ে body message করাতে হবে। লজ্জা শরমের মাথা কি কাঁচাই খেয়ে ফেলছি আমরা?
আমাদের মায়েরা ,দাদীরা,নানীরা তো কোনদিন এইসব করেনি। তাতে কি আমাদের বাবারা, নানারা,দাদারা তাদের ছেড়ে চলে গেছে? না তাদের বিয়ে হয়নি? কি ক্ষতি হয়েছে তাদের যারা নিজেদের অন্যের সামনে কাপড় খুলে শরীর মর্দন করান নি?
আমি নিজে মেয়ে মানুষ। আমি খুব ভাল করেই জানি মেয়েরা এত সাজ গোজ কেন করে। খুবই সিম্পল উত্তর। মানুষ তাদের দিকে তাকাবে , প্রশংসা করবে। কার না ভাল লাগে প্রশংসা শুনতে! আমারো ভাল লাগে।কিন্তু আপারা দুনিয়ায় খালি আমরা মেয়েরাই নাই। আমাদের ভাইরাও আছে। সৃষ্টিগতভাবে যারা আপনাদের উপর এবং আপনারা তাদের উপর দূর্বল। কিন্তু এইটা ভাইদের ক্ষেত্রে একটু না অনেক বেশি। এই কথাগুলা বলতে আমার খুবই খারাপ লাগে। অনেক বেশি লজ্জা লাগে এই জন্য যে এত ব্যাখ্যা করে আমার বোনদেরকে এসব আমার বলতে হয়। আমি বাংলায় এসব লিখতে পারবনা।
Most of the man gets sexually aroused when---
আপনি টাইট ফিটিং কাপড় পরেন।
আপনি ওড়না পরেন না/ গলায় ঝুলায় রাখেন/ একপাশে ঝুলায় রাখেন।
আপনি যখন অর্ধস্বচ্ছ কাপড় পরেন।
আপনার পেট/পা/পীঠ যখন দেখা যায়।
আপনি যখন ঠোঁট রাঙ্গান।
আপনি যখন চোখে স্মোকি সাজ পরেন।
আরও শত শত কারন থাকতে পারে।
কি ? মনে হচ্ছে যে ছিঃ ছিঃ ছেলেরা এত খারাপ! তাইনা? The fact is that they are CREATED like this. Do you understand my dear sisters? THEY ARE CREATED BY ALLAAH LIKE THIS.
শুধু আল্লাহ্‌র ভয়/সমাজের ভয়/ ভালত্ব/ সুস্থ বিবেক আছে দেখেই এখনো কোন ভাই এই ধরণের আপাদের রাস্তায় ধরে কষে কষে কয়েকটা চড় বসান নি।[আল’হামদুলিল্লাহ। এই বিপদ আমার উপর আসার আগেই আল্লাহ্‌ আমাকে রক্ষা করেছেন।একবার কি হল, তখনো আমি ঠিকমত হিজাব করিনা, মাথায় একটু আধটু কাপড় দেই। একদিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্লাসে গেছি। মাথায় কাপড় দেইনি। আমাদের সাথে সিনিয়র অফিসাররাও ক্লাস করতেন। এঁদের মধ্যে একজন ভাই পুরো ক্লাসের মধ্যে আমাকে এমন ঝাড়ি দিলেন! টিচার ছিল, সব স্টুডেন্ট ছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, ক্লাস থেকে বের হয়ে গেছি। অনেক কান্নাকাটি করেছি। ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, "The Jews know our scriptures better than us, but they do not follow.[Inspite of knowing about hijab you don't wear it properly,so] Do you think you are better than that Jew?" এই একটা কথা আমার ভেতরটা কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম হিজাব পরলে আমার কষ্ট হয়, দম বন্ধ হয়ে যায়, এ সি রুমেও ঘামতে থাকি। উনি বললেন, " Did you ask Allaah to help you with this?" আসলেই তো, যার জন্যে হিজাব করছি তাঁর কাছেই তো সাহায্য চাইনি। আমি আর কোন উত্তর দিতে পারিনি ভাইয়াকে। উনি ঠিক কথাই বলেছিলেন আমাকে। হয়ত রুক্ষভাবে বলেছেন,কিন্তু ওই সময় আমার জন্য ওগুলো থাপ্পড়ের কাজ করেছে, আল'হামদুলিল্লাহ এখন তীব্র গরমেও মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখলেও আমার কোন অসুবিধা হয় না। আমি গরম লাগার দোহাই দিই। কিন্তু ওইদিন কি হবে যেদিন সূর্য মাথার এক হাত উপরে থাকবে। আল্লাহ্‌ মাফ করুন। ]
আপারা,আরো কয়েকটা uncensored কথা বলি। এটা জানেন তো যে মানুষ(অধিকাংশ) খুব সহজেই বোর হয়ে যায় আর নতুন কিছু খুঁজতে থাকে যা তাকে আনন্দ দেবে। পশিমাদের মধ্যে হোমসেক্সুলালিটি এত বেশি এর কারন নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন? কেন যেখানে চাইলেই মানুষ আপনার বিছানায় আসতে রাজী সেখানে কেন মেয়ে মেয়ের সাথে ছেলে ছেলের সাথে যেতে চায়? এরা নারী দেহ দেখতে দেখতে ক্লান্ত। এদের রূচি আস্তে আস্তে বিকৃত হয়ে গেছে। এখন তারা নিজেদের মধ্যে থেকেই সংগী খোঁজে। আল্লাহ্‌ মাফ করুন। হেদায়েত দিন।
আপারা, আমার লেখা এলোমেলো হচ্ছে আমি জানি। রেগে আছি তো তাই।
একটা কথা বলি শোনেন। আপনি মানুষকে যা দেখাবেন তা দেখেই তারা আপনার মূল্যায়ন করবে। মানুষের শরীরের সৌন্দর্য এক সময় শেষ হয়ে যায়। তাই আজকে যারা আপনাকে বলছে, তোকে তো দারুন লাগছে/ আপনার ফেসবুকের ছবিতে প্রশংসার পর প্রশংসা করে যাচ্ছে...... আর এই সব দেখে আপনি খুশিতে ডগমগ করেন।।আজ থেকে ২০ বছর পরের কথা চিন্তা করেন...এই ছেলেরা তখন ৩৮/৪০ ....তখন আপনার প্রশংসা করবেনা। তারা কিন্তু ঠিকই ১৬-২৫ দেরকেই খুঁজবে।
কিন্তু আপারা, একটা কথা জানেন? মনের সৌন্দর্য শেষ হয় না। মন জরাগ্রস্ত হয়না। একটা সুন্দর মন, শালীন দেহ সর্ব কালে সর্ব যুগে প্রশংসিত। আজকের বোরকা পরা মেয়েকে দেখলে যেমন আপনার যারা প্রশংসা করে সেই ছেলেরাও মাথা নামিয়ে নেয়,আমার দাড়ি টুপি ওয়ালা ভাইরাও নামিয়ে নেয়। আজ থেকে ২০ বছর পর দেখলেও তারা দৃষ্টি নামিয়ে নিবে, ইনশা’আল্লাহ। আমার এই বোনেরা আজকেই সম্মানিত। কালকেও থাকবে ইনশাআল্লাহ্‌। আর আপনাদের কি হবে? আজকে আপনারা যাদের চোখ জুড়াচ্ছেন কাল তারা আপনার দিকে তাকাবেই না। আর সম্মান??? সেটা আজকেও কেউ আপনাদের করেনা, ভবিষ্যতে করবে কি আল্লাহ্‌ ভাল জানেন।
আপারা, চাকরানী চেনেন??? দাসী চেনেন??? আপনার হলেন পুরুষদের চাকরানী নয়তো মেকাপের দাসী। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে এত সাজ গোজ যে করেন...পরে তো সেগুলো তত কষ্ট করেই ঘষে ঘষে তুলে ফেলতে হয়। কি লাভ এই কৃত্তিমতার?
এই যে একেকজন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং , ভার্সিটিতে পড়ছেন অথচ নিরেট মূর্খের মত আচরণ কেন করছেন?
আপনার এত এত বিদ্যা আপনাকে কেন রঙ চঙ্গের আশ্রয় নেয়া থেকে বাঁচাতে পারেনা???
কেন অফিসে/অফিসিয়াল কনফারেন্স/কনভোকেশন/নবীন বরণ/ ফেয়ারওয়েলে যাবার আগে আপনার নিজের চেহারায় এত ঘষা মাজা করতে হয়? এসব যায়গার তো আপনি আপনার লেখাপড়ার কল্যানেই যাচ্ছেন তাই না? তাহলে কেন সব কিছু ছাপিয়ে আপনার সাজ গোজ সেখানে প্রাধান্য পাবে???
কি করলেন এত লেখাপড়া করে যা আপনার মানসিকতাকে বদলাতে পারেনি?
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়েও কেন আপনাকে ছোট ছোট কাপড়, কিছু রঙ চঙ্গের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। বলতে পারেন?
আপারা বলেন তো দেখি আপনার এক মাসের পার্লারের খরচ দিয়ে কয়জন ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানো যায়? আচ্ছা ধরলাম চালের কেজি ৫০ টাকা। ২০০০ টাকা হলে এক মণ চাল হয়। একটা ছোট পরিবারের ১৫-২০ দিনের খাবার ব্যবস্থা হয়ে যায়। কোনদিন ৫০০ টাকা খরচ করে ১০ কেজি চাল কিনে কোন দরিদ্র মানুষকে দেয়ার কথা ভেবেছেন কখনো? অথচ আপনার পা ঘষে দিলেই আপনি ৫০০ টাকা পার্লারে দিয়ে আসেন। কি আশচর্য! আপনি যখন পা দলাই মলাই করে নিচ্ছে তখন কোথাও কোন সনাবরু না খেতে পেয়ে গলায় দড়ি দিচ্ছে।
আপনি যখন সেজে গুজে বন্ধু বান্ধবের সাথে নবীন বরণ বা ফেয়ারওয়েল এ নাচানাচি করছেন তখন আপনার বোন আফিয়া সিদ্দিকা/ফাতিমেকে প্রতি রাতে ১০ জন মার্কিন সৈন্য ধর্ষন করছে।RAPE. কখনো এদের জন্য আপনার চোখে পানি এসেছে? একবার চিন্তা করুন তো, আপনাকে বানরের মত খঁচায় রাখা হয়েছে যেখানে আপনি সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারেন না, আপনার গায়ে কাপড় পর্যন্ত রাখা হয় নি, আপনার সামনে আপনার দুই সন্তানকে জবাই করা হয়েছে,আপনার একটা একটা করে চুল টেনে টেনে উপড়ে ফেলা হয়েছে, আপনার পেটে গুলি করা হয়েছে, ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়েছে, তার সাথে সাথে যখন তখন আপনাকে ধর্ষন করা হচ্ছে। কি ...বেশি বলে ফেললাম???
__________________________________________________________
[ফাতিমার চিঠি।][কপি পেষ্ট করলাম]
একটি হাতে লেখা দলিল সম্প্রতি ইরাকের আবু গারীব কারাগার থেকে উদ্ধার হয়। ফাতেমা ঐ এলাকার একজন খ্যাতিমান মুজাহিদের বোন। আমেরিকান সৈন্যরা কিছুদিন পূর্বে ঐ মুজাহিদের বাড়িতে হটাত হামলা চালায়। কিন্তু তাকে পায় না। তারা তার বোনকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় যেন ঐ মুজাহিদ নিজ থেকে ধরা দেয়।ফাতেমার মূল চিঠিটি এখানে দেয়া হল যা মাফকারাট আল ইসলামে(আরবী নিউজ এজন্সি) ইংরেজী অনুবাদসহ আরবীতে ছাপা হয়েছিল।
ফাতেমার চিঠি
“পরম করুনাময় আল্লাহতা’য়ালার নামে
(হে মুহাম্মদ) তুমি বলো, তিনিই আল্লাহ তিনি এক একক। তিনি কারোর মুখাপেক্ষী নন, তার থেকে কেউ জন্ম নেয়নি, আর তিনিও কারো থেকে জন্ম গ্রহন করেননি। আর তার সমতুল্য দ্বিতীয় কেউ নেয়।(সূরা আল-এখলাস)
আমি আল্লাহর গ্রন্থ আল-কোরআন থেকে হতে এই পবিত্র সূরাটি পছন্দ করেছি কারন এর দারুন প্রভাব পড়েছে আমার উপর এবং আপনাদের সবার উপরে ও বিশ্বাসীদের হদয়ের এক প্রকার ভয় ও শ্রদ্ধা মিশ্রিত বোধের জন্ম দেবে। আমার ভাই মুজাহীদিন আল্লাহর পথে আছে।আপনাদের আমি কি বলবো?
আমি আপনাদের বলছি : আমাদের গর্ভ বানর ও শূকুর জাতীয় লম্পটদের সন্তানে ভর্তি হয়ে আছে। যারা আমাদের ধর্ষণ করেছে। অথবা (আমি) আপনাদের বলতে পারি যে, তারা আমাদের দেহকে বিকৃত করেছে। আমাদের মুখমন্ডল জলসে দিয়েছে এবং আমাদের ঘাড়ে ঝোলানো কোরআনের ছোট কপিটি অযথা ছিড়ে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলেছে। আল্লাহু আকবার, আপনারা কি পরিস্থিতি অনুদাবন করতে পারছেন না? এটা সত্য আপনারা জানেন না আমাদের সাথে কি ঘটেছে। আমরা আপনাদের বোন। আল্লাহ হিসাব নিকাসের সময় ভবিষ্যতে এ সম্পর্কে আপনাদের জিজ্ঞাসা করবে। আল্লাহর কসম কারাগারে আসা পর্যন্ত আমাদের এমন কোন রাত কাটেনি যে রাতে বানর ও শুকুর জাতীয় অমানুষরা আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েনি। তারা তাদের পূর্ণ স্বাদ মিটিয়ে নিস্তেজ হওয়া অবধি আমাদের দেহকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করতে থাকে। আমরাই তারা যারা আল্লাহর ভয়ে সব সময় সতীত্বকে কে রক্ষা করে এসেছি। আল্লাহকে ভয় করুন। আমাদের মেরে ফেলুন। আমাদের ধংস করে দিন। তাদের আনন্দ উপকরন হিসাবে আমাদের রেখে যাবেন না। এভাবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর মহাকৃতিত্ব মর্যাদা সম্পন্ন করা হবে। আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন। তাদের কামান ও উড়োজাহাজ গুলো বাইরে রেখে আসুন। আবু গারীব কারাগারে আমাদের কাছে আসুন। আমি আপনাদের ধর্ম বোন। তারা আমায় একদিন নয়বারেরও বেশী ধর্ষন করেছে। আপনারা কি অনুধাবন করতে পারছেন? চিন্তা করুন আপনাদের এজন বোন ধর্ষিত হচ্ছে। আপনারা কেন ভাবতে পারছেন না আমি আপনাদের বোন? আমার সাথে আরো ১৩ জন মেয়ে আছে। সবাই অবিবাহিত। সবাই সবার সামনে প্রকাশ্য ধর্ষিত হচ্ছে। তারা আমাদের নামায পড়তে দেয় না। তারা আমাদের পোশাকগুলো নিয়ে নিয়েছে। আমাদের কাপড় পরতে দেয়না। আমাদের মধ্যে একজন মেয়ে আত্নহত্যার প্রতিজ্ঞা করেছে। তাই আমি এই চিঠিটি লিখছি। সে নৃশংসভাবে ধর্ষিত হয়েছে। একজন সৈনিক তাকে ধর্ষনের পর তার বুক ও উরুতে আঘাত করেছে। সে অবিশ্বাস্য অত্যাচারের দ্বারা তাকে ভোগ করেছে। মেয়েটি তার মাথা জেলের দেয়ালে সাথে আঘাত করতে লাগল যতক্ষন না তার মৃত্যু হয়, মেয়েটি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না। যদিও ইসলামে আত্নহত্যা নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আশা করছি আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। কারন তিনি(আল্লাহ) সবার প্রতি অসীম দয়ালু। ভাই আপনাদের আবারও বলছি আল্লাহকে ভয় করুন। আমাদের মেরে ফেলুন। তাহলেই আমরা হয়ত শান্তি পাব। সাহায্য করুন। সাহায্য করুন। সাহায্য করুন।
ড. আফিয়া সিদ্দিকা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন স্নায়ু বিজ্ঞানী। অসামান্য ধীসম্পন্ন পি.এইচ.ডি ডিগ্রীধারী এ মহিলার সম্মানসূচক অন্যান্য ডিগ্রী ও সার্টিফিকেট রয়েছে প্রায় ১৪৪টি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রন্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে Neurology বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। তিনি হাফিযে কুর‘আন ও আলিমা। পবিত্র কুর‘আন ও হাদীসে পারদর্শিনী এ মহিলা ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দ্বীনদার ও পরহেযগার। ইসলামী আদর্শ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে তাঁর স্ট্রং কমিটমেন্ট। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফ.বি.আই পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথিত অভিযোগে ২০০৩ সালে ড. আফিয়াকে তাঁর তিন সন্তান আহমদ, সুলায়মান, ও মরিয়মসহ করাচীর রাস্তা থেকে অপহরণ করে। পাকিস্তানের কোন কারাগারে না রেখে এবং পাকিস্তানী আদালতে উপস্থাপন না করে পাঁচ বছর ধরে তাঁকে আফগানিস্তানের বাগরাম সামরিক ঘাঁটিতে বন্দী করে রাখা হয়। এরপর চলে তাঁর উপর অমানুষিক শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন। বাগরামে কুখ্যাত মার্কিন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, ‘নির্যাতনের সময় একজন নারী বন্দির আর্তচিৎকার অন্য বন্দিদের সহ্য করাও কষ্টকর ছিল.........।
দেখুন আফিয়ার ছবি। অত্যাচারের আগের ও পরের ছবি।

জি, আফিয়া ,ফাতিমাদের সাথে এরকমই করা হচ্ছে। যেখানে তারা নিজেদের আব্রু বাঁচাতে পারছেনা সেখানে আপনি নিজের আব্রু বিলিয়ে দিচ্ছেন?
বোন...লজ্জা কর, ভয় কর আল্লাহকে।
Collected From
Sister
Shabnaj Mithila
যারা কষ্ট করে লেখাটি পড়লেন সবাইকে ধন্যবাদ । সবার কাছেই আমার অনুরোধ আপনার সব বন্ধুদেরও লেখাটি পড়ান। জোর করে হলেও পড়ান । কারন শুধু আপনি ভাল হলেই হবেনা, ঘুণে ধরা সমাজকে বাঁচাতে হলে সবাইকেই জানাতে হবে। যারা ভুল পথে ছিলেন তারা সঠিক পথের দিশা পাবেন লেখাটি পড়ে। তাই লেখাটি আমাদের গ্রুপের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন, কিংবা নিজের নাম দিয়ে অন্য কোথাও পোস্টও করতে পারেন, কারো কোন আপত্তি নাই। কারন লেখিকা হাততালি পাওয়ার আশায় পোস্টটি লেখেন নাই। লেখেছেন মানুষকে ভুল পথ থেকে ফেরাতে। তাই সবাই লেখাটি শেয়ার করেন, প্রিয় মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিন।

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০১১

আরেকটি শংকার জন্ম – “সীসা”!!! (দেখুন আঁতকে উঠবেন!!!)

আরেকটি শংকার জন্ম - "সীসা"!


একটা পুরানো গল্প দিয়ে শুরু করি! আমি তখন ক্লাসে ফোরে পড়ি। আম্মু নিয়মিত স্কুল থেকে আনা নেয়া করে। তো, আমার স্কুলের উলটা দিকে, রাস্তার ওইপারে তখন নতুন একটা ফাস্টফুডের দোকান হয়েছে, নাম “মাইলস”... সে সময় টিভিতে নতুন একটা এড দেয়া শুরু করলো, “শার্ক এনার্জি ড্রিংক” ... আমার তো এড দেখে মাথা নষ্ট অবস্থা! বাংলাদেশে এর আগে এনার্জী ড্রিংক বলে কোনো পানীয় ছিলোনা, তাই আম্মু’র ও কোনো আইডিয়া ছিলোনা এ সম্পর্কে। আমি একদিন ছুটির পর কান্না-কাটির চুড়ান্তে উপনিত হলাম এই দাবীতে যে, আজকে আমারে শার্ক খাওয়ানো লাগবেই! স্নেহময়ী মা আমারে নিয়ে রাস্তা পার হয়ে মাইলসে ঢুকলেন। তখন শার্কের দাম ছিলো খুব সম্ভব ৩৫ টাকা, দোকানি ৪০ টাকা রেখেছিলো। আমি হাতে নিয়েই আর দেরী করলাম না, বোতলের মুখ খুলেই মুখে চালান দিবো এমন সময়ে নাক মুখ কুচকে বমি আসলো! এমন বাজে, ওষুধের মতো গন্ধ আগে কখনো খাইনি! জিনিসটা মুখেও নিলাম না, মুখ লাগিয়ে লোকটাকে দিয়ে দিলাম। লোকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জানালো যে, তিনি টাকা ফেরত দিবেন না। আম্মু কিছু না বলে আমাকে নিয়ে বের হয়ে এলেন।
আমি বের হয়ে বললাম, “আম্মু, পার্ক খাবো (ওইটাও তখন বিটিভিতে নতুন এড দেয়)” আম্মু কোনোক্কিছু না ভেবেই, আকাশ-বাতাস কাপিয়ে গগনবিদারী আওয়াজে এক চড় মারলো! ওইদিন আমার শার্ক, পার্ক কিছুই খাওয়া হয়নাই।
গল্পটা শেষ! ইদানিং আমার এরকম আরেকটা ব্যাপারে আম্মুর কাছে বায়না ধরা উচিত ছিলো, কিন্তু আমি খুবই চিন্তিত ব্যাপারটা নিয়ে। আমি মোটামুটি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি, একটা বস্তুর এত দ্রুত পসার দেখে! জিনিসটা হলো, আমাদের সবার খুব বেশী পরিচিত নয়, আর তা হলো – "সীসা" বা আধুনিক ফ্লেভার্ড হুক্কা। আমি অবাক হয়ে যাই, মাত্র বছর দেড়েক-দুই এর মধ্যে কিভাবে ক্লাস এইট-নাইনের ছেলে-মেয়েদের হাতে এই জিনিস এসে পড়লো!
গ্রাম অঞ্চলে হুক্কা খুব বেশী যে জনপ্রিয়, তাও কিন্তু না! জমিদার গোছের কিছু লোক ভাব দেখানোর জন্য গরর গরর শব্দ করে দামী হুক্কা খেত। আর কোনো দরিদ্রের খোয়াইশ জাগলে নারিকেলের খোসা দিয়ে বানিয়ে নিতো হুক্কা। গ্রাম অঞ্চলে যেই জিনিস আজ বিলুপ্ত, শহরাঞ্চলে আজ তাই জনপ্রিয়!
কোনো এক চতুর মাধ্যমে এই মিথ্যা কথা ছড়িয়ে গেছে যে, হুক্কা/সীসা সিগারেটের তুলনায় কম বিষাক্ত মতান্তরে বিষাক্ত নয়। আর বিশ্বব্রহ্মান্ডের এই অন্যতম ডাহা মিত্থ্যে কথাতেই হোক অথবা বন্ধুদের সামনে বুক উচু করে বলার জন্যই হোক, অসম্ভব হারে স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের মধ্যে জিনিসটির কদর বেড়ে চলেছে। বর্তমানে একদম হাতের কাছেই বিড়ি-সিগারেটের মতোই পাওয়া যাচ্ছে। জিনিসটাতে একটা তথাকথিত "রয়াল (তাদের ভাষায়)" ভাব থাকলেও ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যেই অনায়াসে পাওয়া যায়!
আমার সবচেয়ে কষ্টটা এই জায়গায় যে, যেসব ছেলে-মেয়ে কোনোদিন সিগারেট স্পর্শ পর্যন্ত করেনাই, আজ তারা বাপের পকেট কিভাবে খালি করে ধোয়া দিয়ে পেট ভরছে দেখে! জীবনে একটা টাকা ঘুষ খায়নি, এরকম এক পরিচিত খালু। তিনি একজন প্রাক্তন সচীব। তিনি চাইলে আজ তার কোটি কোটি টাকা থাকতো, কিন্তু সততা তার কাছে জীবনের থেকেও দামী। জীবনে কোনোদিন সকাল বেলায় তাজা মাছ কিনেন নাই তিনি। বিকেলের পর মলিন হয়ে যাওয়া মাছ কম দামে কিনে আনতেন। একজন সচীব! আজ তার ছোট ছেলে, যে কিনা আজানের আগে দৌড় দিয়ে ইফতারী ফেলে নামাজে চলে যেত, সেও এই সীসায় আসক্ত! কষ্ট কই রাখি?
আমার আরেকটা ভয়, অস্বাভাবিক হারে মেয়েরা সীসায় আসক্ত হয়ে পড়ছে! চেনা বেশ কিছু বান্ধবী সীসা নিয়ে খুব খোলাখুলি আলাপ করছে, যেনো এটা হোটেল রাজ্জাক থেকে এক গ্লাস লাচ্চি খাবার মতোই কোনো একটা ব্যাপার!
এবার একটু দেখি, সীসায় আসলেই কোনো বিপদ আছে কিনা। মাঝে মাঝে কাউকে বিশ্বাস করতে নেই, নিজেকেও না! তাই, এই তথ্য খুজে বেড়ানো –
১) এই সীসার ৪টা পার্ট। বেজ, পাইপ, বওল আর মাউথপিস। বওলটাকে এলুমিনিয়ামের কভার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় আর সেই ফয়েলের মাঝে উত্তপ্ত কয়লা রাখা হয়। যা কিনা ভেতরের টোব্যাকো (তামাক) পুড়াতে সাহায্য করে। অশিক্ষিত মাত্র জানে যে, কয়লা পুরে কার্বন মনো অক্সাইড হয়, যা মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসে চরম ক্ষতি করে। মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
২) এই ধোয়া বেজ এ রাখা সুগন্ধী (যেমনঃ স্ট্র্যবেরী, নারিকেল, চকলেট, গোলাপ) পানির ভেতর হয়ে আসে এবং তা মাউথপিসের সাহায্যে সোজা পাকস্থলিতে পৌছে।
৩) রয়টার্সের নাম তো শুনেছেন? রয়টার্সের এক সংবাদ অনুযায়ী একটা পুর্ণ সেশনের সীসা গ্রহন এক প্যাকেট সিগারেট সেবনের মতোই মারাত্মক।
৪) সিগারেট এদিক থেকে একটু কম ক্ষতিকর, তবে দুটো জিনিসই ক্ষতিকর। সিগারেটে যেখানে ১-৩% নিকোটিন থাকে, সেখানে সীসাতে ব্যাবহৃত তামাক থেকে ২-৪% নিকোটিন থাকে। সুত্রঃ ড. কেনেথ, আমেরিকা একাডেমী অফ পেডিয়াট্রিক্স এর প্রেসিডেন্ট।
৫) ইয়েমেন এর একটি প্রসিদ্ধ হাসপাতালের কার্ডিয়াক স্পেশালিস্ট ড. আহমেদ আল-মোতাররেব বলেন, “ একবার পুর্ণ ভাবে সীসা গ্রহন করা ৬০টি সিগারেট গ্রহন করবার সমান”। সুত্রঃ Journal of Periodontology (Nov. 2005)
৬) কিছু আধা শিক্ষিত মানুষ যুক্তি দেখায়, “এটা তো পানির মুধ্যে দিয়ে আসে। সব কিছু তো শোষন হয়ে যায়”...... আমি তাদের দক্ষিন হাত ব্যাবহার করে বলি, “ওহে মুর্খ, নিকোটিন পানিতে প্রকৃতভাবে দ্রবীভুত হয় নারে ছাগলের ৩নম্বর বাচ্চা”
৭) সুগন্ধী, ঠান্ডা ধোয়া এবং প্রবল বিশ্বাস যে এটি ক্ষতিকর নয়, এগুলোই সীসার প্রতি মোহের একমাত্র কারণ। (সুত্রঃ ড. আল খামেরী, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।)
আমার আর কিচ্ছু বলার নেই। যাদের কথা বললাম, এদের কথায় যদি তারা কান না দেয়, আমার মতো চশমা পরা, হাবাগোবা ছেলের কথায় কান দিয়ে তারা কেনো তাদের জীবনের ক্ষতি করবে! ক্ষতিই তো, আমার কথা মানলে তো সীসা বার গুলা বন্ধ হয়ে যাবে! তখন, এই জমাট বেধে আড্ডা মারা আর সীসা খেয়ে লদকা-লদকি করার মুড আসবে কোথা থেকে? আক্রমনাত্মক ভাষা ব্যাবহার করায় দুঃখিত, তবে আমার হাতে শক্তি থাকলে, চাবকায়া সোজা বানিয়ে দিতাম! বাপের নাম ভুলে যেতো, সীসা আর কি জিনিস!
এখন এদের দরকার একটা গাইডেন্স, ঠিক ক্লাস থ্রী তে থাকতে যেমন ছিলো আমার মা। যে কিনা প্রচন্ড স্নেহময়ী কিন্তু দরকারের সময় বজ্রকঠোর। তাদের এখন একটা উপযুক্ত পদক্ষেপের প্রয়জোন যেটা কিনা আমার আম্মু নিয়েছিলো! আমি খুবই শংকিত, নতুন জেনারেশন নিয়ে কেনো যে জাফর ইকবাল, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ এতো আশাবাদী! এদেরকে কি জবাব দিবো? স্যার, আমরা সীসা খাই? সিগারেট খাই? ইভ-টিজিং করি? পারলে আপনারা দেশ বানায় নেন, আমাদের দিয়ে আশা করে লাভ নাই! এই কথা বলবো?
সুত্রঃ
১) Click This Link
২) Click This Link
৩) Click This Link
৪) Click This Link

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১

গুগল ম্যাপ এডিট করতে শিখুনঃ দেশের জন্য অবদান রাখুন

গুগল ম্যাপ। ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার এক অনন্য নাম ! জিপিএস ছাড়া উন্নত বিশ্বের দৈনন্দিন জীবন অচল। কিন্তু আমাদের দেশে অবহেলিত! দেশের ডিজিটাল ম্যাপিং এর অবস্থা খুব করুন। অনেক দেশে শুধু ব্যবহারকারীদের অবদানের জন্য নগরীগুলো ডিজিটাল ম্যাপিং এর সবোর্চ্চ শিখরে পৌছেছে। কিন্তু আমাদের দেশে কনট্রিবিউটর খুব কম। চলুন আমরা সবাই দেশকে ডিজিটাল বানাতে অবদান রাখি, আর শিখে ফেলি কিভাবে ম্যাপ এডিট করতে হয়।

টিউটোরিয়ালঃ

গুগল ম্যাপ এডিট খুব সহজ কাজ! নেট ব্যবহার করতে জানেন এমন কেউ আলাদা কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই গুগল ম্যাপে অবদান রাখতে পারবেন।
1. প্রথমে আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট বা গুগল একাউন্ট লাগবে। একাউন্ট না থাকলে এখান থেকে তৈরী করে নিন
2. এবার গুগল ম্যাপ এডিটের এই লিংকে প্রবেশ করুন। http://www.google.com/mapmaker
ম্যাপ এডিটের বাটনগুলোর সাথে একনজরে পরিচিত হোন।

যেভাবে নতুন রাস্তা বানাবেনঃ

ধরুন আপনার বাসার পাশের রাস্তাটি গুগল ম্যাপে নেই, কিন্তু আপনি অ্যাড করে দিতে চাচ্ছেন। নিচে স্যাটেলাইট ভিউ থেকে একটি রাস্তা দেখা যাচ্ছে যেটি ম্যাপে নেই (আমরা অ্যাড করে দেব)

এই রাস্তাটি বানাতে প্রথমে 1 চিহ্নিত বাটনে ক্লিক করুন। তারপর 2 বাটন থেকে Road সিলেক্ট করুন।

প্রয়োজনে জুম করে নিন। এরপর মাউস দিয়ে ক্লিক করে করে রোডটি বানিয়ে ফেলুন।

সিলেক্ট করা হলে কিবোর্ডের Enter বাটন চাপুন। 1 নং ঘরে রোড এর নাম দিয়ে Save করুন! :D
বিঃদ্রঃ (নিজের নামে কোন রাস্তা বানাবেন না, এটি নিষিদ্ধ)
(ব্যাস রোড তৈরী হয়ে গেল! রোডটি কিন্তু সরারি ম্যাপে প্রকাশ পাবেনা। আপনি নতুন ইউজার হলে একজন গুগল রিভিউয়ার আপনার ম্যাপটি রিভিউ করে তারপর পাবলিশ করে দেবে। সাধারণত 2-1 দিন সময় লাগে রিভিউ পেতে। ম্যাপটি পাবলিশ হবার সাথে সাথেই যে মোবাইলের গুগল ম্যাপে রোডটি দেকতে পারবেন না নয়, 10-15 দিন পর পর লেটেস্ট সব আপডেট কে ম্যাপে সিনক্রোনাইজ করা হয়, তখন মোবাইলে আপনার রোডটি বিশ্বের সবাই দেকতে পারবে।)

যেভাবে কোন জায়গা (পার্ক/অফিস/রেস্টোরা) বানাবেনঃ

প্রথমে 1 চিহ্নিত জায়গায় ক্লিক করে 2 নং থেকে যা বানাবেন তা সিলেক্ট করুন। এখানে আমি একটি পার্ক (Park) বানাবো।

আগের মতই (1) মাউস দিয়ে প্রথমে এরিয়া সিলেক্ট করে দিন। এরপর (2) পার্কটির নাম দিয়ে দিন (3) এটি পার্কের এরিয়া না বিল্ডিং তা সিলেক্ট করুন (4) Save করুন।
বিঃদ্রঃ আপনার বাসা ম্যাপে যোগ করবেন না। এটি গুগল সমর্থন করেনা। মডারেটর ডিনাই করে দেবে, আপনার ম্যাপিং অ্যাকুরেসি রেটিং কমে যাবে। বিজনেস এরিয়া ও জনপ্রিয় স্থানগুলো যুক্ত করুন।

যেভাবে কোন রাস্তার নাম সংশোধন করবেনঃ

ধরুন আপনার এলাকার কোন রাস্তার নাম ভুলভাবে ম্যাপে রয়েছে। এটি সংশোধন করার জন্য (1) সিলেক্ট বাটনে ক্লিক করুন। এরপর যেই রাস্তাটি সংশোধন করবেন তার উপর ক্লিক করুন (2)। রাস্তাটি সিলেক্ট হয়ে যাবে।

এবার Edit এ ক্লিক করুন। এখান থেকে Edit entire (রোডের নাম) এ ক্লিক করুন।

(1) এ রোডের নামটি প্রবেশ করান (2) সেভ করুন। :D

যেভাবে ভুল রোড ডিলেট করবেনঃ

ধরুন আপনার এলাকার কোন রোড ভুলভাবে ম্যাপে এসেছে. বা রোডটি নেই কিন্তু ম্যাপে আছে এবং আপনি ডিরেট করতে চাচ্ছেন (সতর্কতার সাথে ডিলেট করুন, কারণ আসল রোড ডিলেট করলে ব্যবহারকারীরা অসুবিধায় পড়বে)।
রোডটি ডিলেট করতে  (1) সিলেক্ট বাটনে ক্লিক করুন, এরপর যেই রাস্তাটি ডিলেট করবেন তার উপর ক্লিক করুন। এবার (2) Edit মেনু থেকে Delete This এ ক্লিক করুন।

এবার রোডটি কেন ডিলেট করবেন তার কারণ সিলেক্ট করুন।

ব্যাস রোড ডিলেট হয়ে গেল! :D

সতর্কতাঃ

  • গুগল ম্যাপ এডিটে প্রচুর ডাটা খরচ হয়। প্রিপেইড ব্যবহারকারীগণ এক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন।
  • নিখুঁত ও নির্ভুল তথ্য দিন, মনে রাখবেন আপনার দেয়া তথ্য হাজার হাজার মানুষের কাজে আসবে।
  • নতুন ব্যবহারকারী হিসেবে আপনার এডিট সরাসরি প্রকাশিত হবেনা, কিছু সময় লাগবে।
  • গুগল ম্যাপে আপনার এডিট প্রকাশ পেতে 10-15 দিন সময় লাগবে। (স্টাবল ভার্সনের জন্য)
দেশের জন্য অবদান রাখুন, দেশকে ডিজিটাল করুন। এই পোস্টটি নিজস্ব ব্লগ ও অন্যন্য কমিউনিটি ব্লগে ছড়িয়ে দিতে পারেন যাতে সকলে গুগল ম্যাপ এডিট করতে শিখে দেশের জন্য অবদান রাখতে পারে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ফেসবুকের খুঁটিনাটি ব্যবহার….

বাংলাদেশে এখন ১৬ লাখের বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুকের খুঁটিনাটি জানা ব্যবহারকারীর জন্য জরুরি। কারণ, একদিকে আরও বেশি কার্যকরভাবে ফেসবুক ব্যবহার করা যাবে, আবার নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার দিকটাও দেখতে হবে। ফেসবুকের খুঁটিনাটি নিয়েই এ আয়োজন।
নাম পরিবর্তন:
ফেসবুকে নাম ও অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন করা যায়। এ জন্য প্রথমে facebook.com ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে হবে।ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Name-এর ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করে নতুন নাম লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন।
ব্যবহারকারীর নাম যুক্ত করা:
অনেকেই ফেসবুকে আলাদা একটা নাম (ইউজারনেম) ব্যবহার করে থাকেন। ইউজারনেম ব্যবহার করলে ফেসবুকে কাউকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় এবং নিজের একটি আলাদা ফেসবুক ঠিকানা (লিংক) হয়। ফেসবুকে ঢোকার (লগ-ইন) সময় ই-মেইল ঠিকানার পরিবর্তে এই ইউজারনেম ব্যবহার করা যায়। ইউজারনেম যোগ করার জন্য প্রথমে Account/Account Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে সেখান থেকে Username-এর ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করুন। Username বক্সে কোনো নাম লিখুন (কমপক্ষে পাঁচটি বর্ণের)।. নামটি ফাঁকা থাকলে Save Changes-এ ক্লিক করুন। আর ফাঁকা না থাকলে অন্য নাম দিয়ে আবার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি ইউজারনেম নির্বাচন করেছেন djuicelife, তাহলে আপনার ফেসবুকের ঠিকানা হবে http://www.facebook.com/djuicelife
ই-মেইল ঠিকানা বদলানো:
ফেসবুকে ই-মেইল ঠিকানা বদলের জন্য Account Settings-এ যেতে হবে।এখন Email-এর ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করুন। এখন Add another email-এ ক্লিক করুন। New Email : বক্সে নতুন ই-মেইল ঠিকানা লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। তখন ফেসবুক পাসওয়ার্ড চাইলে পাসওয়ার্ড লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার নতুন ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল যাবে। ওই মেইলে ক্লিক করলেই ফেসবুকে নতুন ই-মেইল ঠিকানাটা যোগ হবে। এখন আপনি দুটি ই-মেইল ঠিকানার যেকোনো একটি দিয়েই ফেসবুকে ঢুকতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড পরিবর্তন:
ফেসবুকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Password-এর ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করে আগের পাসওয়ার্ড এবং দুবার নতুন পাসওয়ার্ড লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। পাসওয়ার্ড লেখার সময় বর্ণ ও সংখ্যার মিশ্রণ থাকলে ভালো হয়।
নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়া:
ফেসবুকে অনেকের নামের পাশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখা যায়, আবার অনেকের দেখা যায় না। এগুলো হচ্ছে একেকটা নেটওয়ার্ক। কেউ যদি তাঁর নামের পাশে কোনো নেটওয়ার্ক যুক্ত করতে চান, তাহলে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে সেখান থেকে Networks-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করুন। এখন Join another Network-এ ক্লিক করে Network name বক্সে কোনো নাম লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এভাবে আপনি একাধিক নেটওয়ার্কের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন।
ফেসবুকে অন্য অ্যাকাউন্ট:
ফেসবুকে আপনার প্রোফাইলে ইয়াহু, জিমেইল, মাইস্পেস ইত্যাদির ঠিকানা যোগ করতে পারেন। এ জন্য লিংকড অ্যাকাউন্টসের ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করে অন্য অ্যাকাউন্টগুলোর ঠিকানা লিখে দিলেই চলবে।
ফেসবুক বাংলায়:
ফেসবুকের সব লেখা ইংরেজিতে। তবে আশার কথা, চাইলে ফেসবুকের সব লেখা বাংলায় পরিবর্তন করতে পারেন। এ জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে নিচে থেকে Language-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করুন। এখন Choose Primary-তে English (US)-এর পরিবর্তে বাংলা সিলেক্ট করে Save Changes-এ ক্লিক করুন। দেখবেন সব ফেসবুক বাংলা হয়ে গেছে। আবার ইংরেজি করতে চাইলে একই পদ্ধতিতে বাংলার পরিবর্তে English (US) সিলেক্ট করে Save Changes-এ ক্লিক করুন।
রেখে দিন দরকারি জিনিস:
অজকাল প্রায়ই ই-মেইল ঠিকানা, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চুরি (হ্যাকড) হওয়ার কথা শোনা যায়। আপনি হয়তো অনেক দিন ধরে ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুকে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছবি, তথ্য ও আপনার অনেক বন্ধু আছে। কিন্তু আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যদি চুরি হয়ে যায় বা কোনো কারণে নিষ্ক্রিয় (ডিজেবল) হয়ে যায়, তখন সবকিছুই হারিয়ে যাবে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং বা ডিজেবল হলেও যাতে কোনো তথ্য হারাতে না হয়, এ জন্য ফেসবুকের ব্যাকআপ রাখতে পারেন। ফেসবুকের ব্যাকআপ রাখার জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন সবার নিচে Download a copy-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Start My Archive-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের একটি ব্যাকআপ প্রোফাইল তৈরি হতে থাকবে। ব্যাকআপ প্রোফাইল তৈরি হয়ে গেলে আপনার ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল যাবে। তারপর আবার Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করে Download a copy-এ ক্লিক করে আপনার ফেসবুকের ব্যাকআপ প্রোফাইলটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
ডাউনলোড হওয়ার পর জিপ ফাইলটি আনজিপ করুন। এখন index ফাইলটি ওপেন করলে আপনি আপনার ফেসবুকের পুরো প্রোফাইল (ছবি, ওয়াল, মেসেজ, ফ্রেন্ড) দেখতে পারবেন।
অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা:
আপনি যদি আর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে না চান, তাহলে Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে security-তে ক্লিক করুন। এখন সবার নিচে Deactivate your Account-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে দেখবেন, সেখানে লেখা আছে, আপনি কেন আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় (deactivate) করতে চান। অনেকগুলো অপশন থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করে Confirm-এ ক্লিক করুন। পাসওয়ার্ড চাইলে পাসওয়ার্ড এবং নিরাপত্তা সংকেত (সিকিউরিটি কোড) চাইলে সেই কোড দিয়ে ok করুন। পুনরায় চালু (Activate) করতে চাইলে শুধু login করলেই আবার অ্যাকাউন্টটি activate হয়ে যাবে।
একেবারে স্থায়ীভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চাইলে facebook.com/help/contact.php?show_form=delete_account ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে বন্ধ করে দিতে পারবেন।
ই-মেইলে খবর আসা বন্ধ করা:
ফেসবুকের সব খবর ই-মেইলেচলে আসে। আপনার কাছে Add Request, message বা আপনার wall-এ কিছু লেখে বা আপনার কোনো লেখা বা ছবিতে Comments করে, তাহলে তা আবার ই-মেইলের মাধ্যমে আপনাকে জানানো হয়। এতে দেখা যায়, প্রতিদিন ফেসবুক থেকে অসংখ্য ই-মেইল আসে, যা অনেক সময় বিরক্তিকর।
এটি থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন যে পেজটি আসবে, সেটির বাঁ পাশ থেকে Notifications-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে ওই পেজের মধ্যে All Notifications-এর ডান পাশে দেখুন বেশ কয়েকটি Edit লেখা অপশন আছে। একটি একটি করে সেখানকার সব কটি Edit-এ ক্লিক করে সব কটি বক্স থেকে সব কটি টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা:
কেউ যদি ফেসবুকে আপনাকে বিরক্ত করে, যেমন—বারবার বার্তা পাঠায়, বারবার Add Request পাঠায়, তাহলে আপনি তাকে ব্লক করে দিতে পারেন। ব্লক করে দিলে সে আর আপনাকে খুঁজে পাবে না। কাউকে ব্লক করতে হলে প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Privacy Settings-এ ক্লিক করুন। এখন একেবারে নিচে Block Lists-এর নিচে Edit your list-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Name অথবা Email বক্সে কারও নাম বা ই-মেইল আইডি লিখে Block-এ ক্লিক করে তাকে ব্লক করে দিতে পারেন। অথবা কারও প্রোফাইলের নিচের দিকে বাঁ পাশে Block-এ ক্লিক করেও কাউকে ব্লক করে দিতে পারেন।
প্রোগ্রাম গোছানো:
আপনি কী কী প্রোগ্রাম ইনস্টলকরেছেন, সেসব দেখতে চাইলে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Privacy Settings-এ ক্লিক করুন। এখন একেবারে নিচে Apps and Websites-এর নিচে Edit your Settings-এ ক্লিক করুন।
নতুন পেজ এলে দেখতে পাবেন আপনি কী কী প্রোগ্রাম ব্যবহার করছেন। কোনোটি বাদ দিতে চাইলে পাশের কাটা চিহ্নে ক্লিক করে বাদ দিতে পারেন।
কতটা দৃশ্যমান হবেন:
আপনাকে আপনার বন্ধুরা ছাড়া অন্য কেউ খুঁজে (সার্চ) পাবে না। এমনকি আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে খুঁজলেও না।এমন ব্যবস্থা করতে চাইলে Account থেকে Privacy Settings-এ ক্লিক করুন। এখন ওপরে View settings-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Search for you on Facebook-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে Only Friends নির্বাচন করে দিন। তাহলে আপনাকে আপনার বন্ধুরা ব্যতীত অন্য কেউ খুঁজে পাবে না। এখন Send you friend requests-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে নির্বাচন করে দিন, তখন যে কেউ আপনাকে friend requests পাঠাতে পারবে।
Send you messages-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে নির্বাচন করে দিন, যে কেউ আপনাকে মেসেজ পাঠাতে পারবে।
See your friendlist-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে নির্বাচন করে দিন, তাহলে সবাই আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট দেখতে পারবে। এভাবে বাকি সেটিংসগুলোও নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন।
নিজের ইচ্ছামতো:
আপনি আপনার ওয়ালে কোনো কিছু লিখলে বা পোস্ট করলে সেটা কে কে বা কারা দেখবে, সেটা ঠিক করে দিতে পারেন।Privacy Settings-এ গিয়ে নিচে থেকে Customize settings-এ ক্লিক করুন। এখন Posts by me-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে ঠিক করে দিন। কাস্টমাইজও নির্বাচন করতে পারেন।
কাস্টমাইজ নির্বাচন করলে নতুন একটি উইন্ডো আসবে। এখন Make this visible to বক্সে ক্লিক করে Specific People নির্বাচন করলে যাঁরা আপনার ওয়ালের পোস্ট দেখতে পারবেন, তাঁদের নাম লিখে Save Satting-এ ক্লিক করুন (Only Me নির্বাচন করলে শুধু আপনি দেখবেন, আর কেউ দেখতে পারবে না)।. যদি কিছু নির্দিষ্ট বন্ধু ছাড়া বাকি সবাই দেখতে পারবে, এমন সেটিংস করতে চান, তাহলে Hide this from বক্সে তাঁদের নাম লিখে Save Satting-এ ক্লিক করুন। এভাবে নিচের বাকি সব কটি ঠিক করতে পারবেন। প্রোফাইল ফটো বা ছবির অ্যালবাম কে কে বা কারা দেখবে, সেটা ঠিক করার জন্য Customize settings-এ যান।এখন আপনার ছবির অ্যালবামের সেটিংস কাস্টমাইজ করার জন্য ওই পেজের মধ্যখানে Edit album privacy-তে ক্লিক করুন। এখন যে অ্যালবামটির কাস্টমাইজ সেটিংস তৈরি করতে চান, সেই অ্যালবামটির নামের নিচের বাটনে ক্লিক করে কাস্টমাইজ নির্বাচন করুন। এখন Make this visible to বক্সে ক্লিক করে Specific People নির্বাচন করে যাঁদের সঙ্গে অ্যালবামটি শেয়ার করতে চান, তাঁদের নাম লিখে Save Satting-এ ক্লিক করুন।
যদি কিছু নির্দিষ্ট বন্ধু ছাড়া বাকি সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চান, তাহলে Hide this from বক্সে তাঁদের নাম লিখে Save Satting-এ ক্লিক করুন। আপনাকে ট্যাগ করা ছবি বা ভিডিওটি আপনি ছাড়া আর কেউ দেখবে না। এমন ব্যবস্থা করতে হলে Customize settings পেজের মাঝখানে Photos and videos you’re tagged in-এর ডান পাশে Edit settings-এ ক্লিক করে Who can see photos and videos I’m tagged in-এর ডান পাশে ক্লিক করে Customize নির্বাচন করে Make this visible to বক্সে ক্লিক করে Only Me নির্বাচন করে Save Satting-এ ক্লিক করুন। যাঁরা আপনার বন্ধু নয়, তাঁদের কাছে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি দেখতে কেমন দেখায়, সেটি দেখতে চাইলে সবার ওপরে ডান পাশে Preview My Profile-এ ক্লিক করুন।
হেল্প সেন্টার:
ফেসবুক কিছুদিন পর পর তার সেটিংস পরিবর্তন করে। তা ছাড়া ফেসবুক কিছুদিন পর পরই নতুন নতুন অপশনও যোগ করে। কোনো একটা অপশন কোথায় আছে, তা ভুলে গেলে বা জানা না থাকলে ফেসবুক হেল্প সেন্টারের সাহায্য নেওয়া যায়। যেমন—আপনি যদি ভুল করে কোনো বন্ধুকে হাইট করে ফেলেন, তাহলে তাঁকে আবার আন-হাইট করবেন কীভাবে বা কোনো বন্ধুকে হাইট করবেন কীভাবে? এর উত্তর যদি জানা না থাকে, তাহলে এ জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Help Center-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে How i unhide a friend? লিখে সার্চ করুন। রেজাল্ট এলে Expand All-এ ক্লিক করুন। আপনার সমাধান পেয়ে যাবেন।
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা:
আপনার ফেসবুকের ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনে যায়, তাহলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এ জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে security-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Login Notifications-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করুন। Email-এর পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন Login Approvals-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করে Require me to enter a security code sent to my phone বক্সে টিক চিহ্ন দেওয়ার সময় নতুন বার্তা এলে Set Up Now-এ ক্লিক করুন। এখন Phone number : বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। তারপর Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করে পুনরায় ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন, Name New Computer নামের একটি পেজ এসেছে। সেখানে Computer name বক্সে কোনো নাম লিখে Add to your list of recognized devices বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue-তে ক্লিক করুন।
এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ব্যতীত অন্য কারও কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করলেই কেবল আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে। কাজেই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ আপনার ফেসবুকে লগইন করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার মোবাইলে আসা কোড নম্বরটি কোড বক্সে প্রবেশ করানো হবে। আপনার ই-মেইলে একটি মেইল যাবে, যেটাতে লেখা থাকবে কে, কখন, কী নাম দিয়ে, কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার ফেসবুকে প্রবেশ করেছিল।
মোবাইল নম্বর যোগ করা:
ফেসবুকে মোবাইল ফোন নম্বর যোগ করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যদি কখনো চুরি হয়ে যায়, তাহলে মোবাইল নম্বর দিয়ে তা উদ্ধার করতে পারবেন। আবার আপনি ইচ্ছা করলে ফেসবুকের খবর বা নোটিফিকেশনসগুলোও মোবাইল ফোনে পেতে পারেন বিনা মূল্যে। এ জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ গিয়ে বাঁ পাশ থেকে Mobile-এ ক্লিক করুন। এখন Add a Phone লিংকে ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে Mobile Carrier : এ বাংলালিংক, সিটিসেল, গ্রামীণফোন, এয়ারটেল বা রবি নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। আপনার মোবাইল নম্বরটি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে যোগ করতে না চাইলে Add this phone number to my profile বক্স থেকে টিক চিহ্নটি তুলে দিন। আপনার মোবাইল থেকে F লিখে 32665-এ মেসেজ দিন। ফিরতি মেসেজে আপনার কাছে একটি কোড নম্বর আসবে, সেটি কোড বক্সে লিখে Next-এ ক্লিক করুন।
প্রোফাইল সেটিংস:
আপনার Profile-এ ক্লিক করে ওপরে আপনার নামের নিচে Edit Profile-এ ক্লিক করে বাঁ পাশ থেকে Basic Information, Profile picture, Friends and Family, Education and work, Contact Information ইত্যাদিতে ক্লিক করে মনের মতো করে তথ্য যোগ করতে পারেন।

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১

২০১২-২০৪০ টেকনোলজীর যেসব বিস্ময় অপেক্ষমান

২০১৬ সাল

*পৃথিবীর প্রথম মহাকাশ হোটেলঃ রাশিয়ান স্পেস গ্রুপ এনার্জিয়া, আমেরিকার সহায়তায় এই প্রজেক্টে কাজ করছে।

* ২০০ ডিভিডির ধারনক্ষমতা সম্পন্ন হলোগ্রাফিক ভার্সেটাইল ডিস্ক প্রতিস্থাপন করবে ব্লু রে ডিস্ক কে

২০১৭ সাল

* যৌগিক অনুর টেলিপোর্টেশন সম্ভব হবে

২০১৮ সাল

*বিজ্ঞানীরা পৃথিবির কেন্দ্র পর্যন্ত ক্ষনন করতে সক্ষম হবেন

* কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে 1,000,000,000,000,000,000 টি হিসাব সম্পন্ন করবে, তখন নিশ্চয়ই বলা যাবে চাচা চৌধুরীর মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মত প্রখর নয়!
* গাড়ি থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহারের সব যন্ত্রপাতি ইন্টারনেটে যোগাযোগের ক্ষমতা রাখবে আরএফআইডি চিপের কল্যানে

* ১০০ গিগাবাইট/সেকেন্ড ক্ষমতার ডাটা ট্রান্সফার ডিভাইস ইউএসবি ৩.০ কে প্রতিস্থাপন করবে
ভিডিও
* স্টেম সেল টেকনলজীর কারনে স্পাইনার কর্ড ইনজুরী সেরে যাবে নিমেষেই

* চালু হবে International Thermonuclear Experimental Reactor যা প্রায় অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন দূষনমুক্ত এনার্জি তৈরী করতে সক্ষম হবে

২০২০ সাল

* সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা হবে ৫ বিলিয়ন
Brain Machine Interface Technology, আপনি চিন্তা করবেন আর সব লেখা হয়ে যাবে!
* হলোগ্রাফিক টেলিভিশন পৌছে যাবে ঘরে ঘরে

* মাইক্রোচিপ গুলো হবে প্রায় একটি পরমানুর আকারের (৪ ন্যানোমিটার)

* স্টেম সেল এর মাধ্যমে মানুষের শরীরের সব অঙ্গ কৃত্রিমভাবে তৈরী এবং প্রতিস্থাপন সম্ভব হবে

মূল ইংরেজী আর্টিকেল

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১

যোগাযোগমন্ত্রীর সততায় ঘাটতি: উইকিলিকস - আমি পরীক্ষিত সৎ লোক: আবুল হোসেন

যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন দাবি করেছেন, ওয়াশিংটনে পাঠানো সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির তারবার্তায় তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। শুধু একটি অনুচ্ছেদে তাঁর সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
যোগাযোগমন্ত্রীকে নিয়ে উইকিলিকসের ফাঁস হওয়া খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তবে মরিয়ার্টি এমন কথা বলেছেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যদি মরিয়ার্টি এমনটা বলে থাকেন তাহলে মার্কিন দূতাবাস এটি যাচাই করুক। এমন কথার ব্যারোমিটার কী, কত ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল, তাঁর পার্সেন্টেজ কত? আমি বিশ্বাস করি উইকিলিকসে প্রকাশিত খবরটি অসত্য, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি পরীক্ষিত সত্ লোক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সেই সার্টিফিকেট দিয়েছে।’
আবুল হোসেন বলেন, যারা তারবার্তাটি দিয়েছে, তাঁরা সরকারের কাজ বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করেছে। তবে ষড়যন্ত্রকারী কারা তা বলেননি মন্ত্রী।
পদ্মা সেতুর দরপত্র নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়কের দরপত্র হয়েছে। তবে কার্যাদেশ হয়নি। মূল সেতুসহ অন্য কাজের চূড়ান্ত দরপত্রও হয়নি। এ অবস্থায় দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।
যোগাযোগমন্ত্রীকে নিয়ে ওয়াশিংটনে পাঠানো সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির তারবার্তা সম্প্রতি প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যোগাযোগের অবকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছেন এমন একজন মন্ত্রীর ওপর, যাঁর সততার ঘাটতি ও দুর্নাম রয়েছে। আর তিনি হচ্ছেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি লিখেছেন, যোগাযোগমন্ত্রীর ‘রেপুটেশন’ হচ্ছে ‘লেস দ্যান অনেস্ট’। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে পাঠানো এক গোপন তারবার্তায় মরিয়ার্টি এসব কথা লিখে পাঠিয়েছিলেন।