রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১

যোগাযোগমন্ত্রীর সততায় ঘাটতি: উইকিলিকস - আমি পরীক্ষিত সৎ লোক: আবুল হোসেন

যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন দাবি করেছেন, ওয়াশিংটনে পাঠানো সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির তারবার্তায় তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। শুধু একটি অনুচ্ছেদে তাঁর সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
যোগাযোগমন্ত্রীকে নিয়ে উইকিলিকসের ফাঁস হওয়া খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তবে মরিয়ার্টি এমন কথা বলেছেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যদি মরিয়ার্টি এমনটা বলে থাকেন তাহলে মার্কিন দূতাবাস এটি যাচাই করুক। এমন কথার ব্যারোমিটার কী, কত ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল, তাঁর পার্সেন্টেজ কত? আমি বিশ্বাস করি উইকিলিকসে প্রকাশিত খবরটি অসত্য, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি পরীক্ষিত সত্ লোক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সেই সার্টিফিকেট দিয়েছে।’
আবুল হোসেন বলেন, যারা তারবার্তাটি দিয়েছে, তাঁরা সরকারের কাজ বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করেছে। তবে ষড়যন্ত্রকারী কারা তা বলেননি মন্ত্রী।
পদ্মা সেতুর দরপত্র নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়কের দরপত্র হয়েছে। তবে কার্যাদেশ হয়নি। মূল সেতুসহ অন্য কাজের চূড়ান্ত দরপত্রও হয়নি। এ অবস্থায় দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।
যোগাযোগমন্ত্রীকে নিয়ে ওয়াশিংটনে পাঠানো সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির তারবার্তা সম্প্রতি প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যোগাযোগের অবকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছেন এমন একজন মন্ত্রীর ওপর, যাঁর সততার ঘাটতি ও দুর্নাম রয়েছে। আর তিনি হচ্ছেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি লিখেছেন, যোগাযোগমন্ত্রীর ‘রেপুটেশন’ হচ্ছে ‘লেস দ্যান অনেস্ট’। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে পাঠানো এক গোপন তারবার্তায় মরিয়ার্টি এসব কথা লিখে পাঠিয়েছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন